Chinese Government Scholarship
প্রতি বছর Chinese Scholarship Council (CSC) বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদেরকে Chinese Government Scholarship (CGS) দিয়ে আসছে। স্বনামধন্য এই স্কলারশিপের আওতায় শিক্ষার্থীরা চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর/মাস্টার্স/পিএইচডি প্রোগ্রামে লেখাপড়া করার সুযোগ পাবে। প্রতি বছরের মত এই বছর ও এই স্কলারশিপে আবেদন চলছে।
আবেদনের সময়সীমা–
অনলাইনে আবেদনের শেষ সময়: ১৬ জানুয়ারি ২০২২ (রবিবার বিকাল ৪ টা)।
ডকুমেন্ট জমা দেয়ার শেষ সময়: ১৭ জানুয়ারি ২০২২ (সোমবার বিকাল ৪ টা ৩০ মিনিট)।
প্রোগ্রাম লেভেল– আন্ডারগ্রাজুয়েট, মাস্টার্স, পিএইচডি, জেনারেল স্কলার, এবং সিনিয়র স্কলার।
যা যা পাবেন–
আবেদনের যোগ্যতা–
ইংরেজি/চাইনিজ ভাষার দক্ষতা–
আবেদন করবেন যেভাবে–
উপসচিব
বৃত্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা
কক্ষ নং: ১৭০৬, ভবন নং: ০৬, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিভাগ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস–
CSC Scholarship Portal এ আবেদন করার জন্য নিচের ডকুমেন্টস লাগবে। নিচের ডকুমেন্টস কালার স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
Official Circular Link: এই লিংক থেকে দেখুন।
সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর–
চীন যাওয়া কি ঠিক হবে?
বর্তমান বিশ্বের ১ নম্বর অর্থনীতি হোল ইউনাইটেড স্টেটস । আর তার পরেই আছে চীন! ধারণা করা হচ্ছে ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্ব অর্থনীতির মূলশক্তিগুলো হবে পূর্ব দিকের দেশগুলো। আর তার নেতৃত্ব দিবে চীন।
তুলনামূলক সল্প খরচে বিশ্বমানের এডুকেশন স্ট্যান্ডার্ডে পড়াশুনা করার সুযোগ । এশিয়ানদের জন্য তুলনা মূলক স্কলারশিপ পাওয়া সহজ। কম ব্যয়ে বসবাসের সুযোগ । কোর্স শেষে রয়েছে বিশ্ব সেরা কোম্পানিগুলোয় ইন্টার্শিপ এবং চাকুরির সুবিধা।
তবে পড়াশুনা চলাকালীন সময়ে কোন ধরনের চাকুরির সুযোগ নেই । তবে ক্যাম্পাসের ভেতর ভার্সিটির অনুমতি সাপেক্ষে কাজ করা যায় । সেটা হাত খরচের জন্য যথেষ্ট তবে কখনো টিউশন ফি, ডর্মেটরি ফি এর জন্য যথেষ্ট নয়। অনেকে স্থানীয় স্কুল গুলোয় ফরেন ইংলিশ টিচার হিসেবে শিক্ষকতা করেন।
চীনা ভাষা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকেন। কিন্তু এটা মোটেও চিন্তার কোন ব্যাপার নয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সবাই ইংরেজিতেই কথা বলেন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ইংরেজি মাধ্যমেই ক্লাস হয়। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি ফ্রি চায়না ভাষার ক্লাসও অফার করে। ভালোভাবে পড়াশুনা করলে ছয় মাসেই চীনা ভাষা শেখা সম্ভব।
সব থেকে বড় কথা হচ্ছে, ইউরোপিয়ান দেশ গুলোর মত ভিসা পাওয়া কঠিন নয় বরং অনেক সহজেই চাইনিজ ভিসা পাওয়া যায়। ভিসার ব্যাপারে সবাই এক্স -১ ভিসা নিয়ে আসবেন। এক্স ১ হচ্ছে লং টার্ম স্টাডির জন্য দেয়া হয়।
পড়াশুনা শেষে অবশ্যই জব করতে পারবেন । সব প্রভিন্স এবং ইউনিভার্সিটিতে জব ফেয়ার হয়। যোগ্যতা থাকলে অবশ্যই পাবেন। পড়াশুনার পাশাপাশি এখনো সব প্রভিন্সে জব করা লিগ্যাল নয় । যদিও সবাই করে কিছুনা কিছু এ নিয়ে ঘাবড়াবার কিছু নেই। বিজনেসও করতে পারেন চাইলে।
খাবার খরচ সম্পুর্ণ নিজের উপর, আপনি কেমন খাবেন তার উপর আপনার খাবার খরচ নির্ভর করবে। তবে সাধারণ ভাবে রান্না করে খেলে প্রভিন্স ভিত্তিক ৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে অনায়াসে খাওয়া যায়। আবার বাইরে খেলে মাসিক ২৫ হাজার টাকাও লাগতে পারে ।
চাইনিজ কিংবা ইংলিশ দুই ভাষাতেই পড়তে পারবেন । ডিপ্লোমাতে সারাধরণ চাইনিজে পড়ানো হয়। অনার্স , মাস্টার্স, পিএইচডি চাইনিজ কিংবা ইংলিশে পড়তে পারবেন।
এই লিংক থেকে সাবজেক্টগুলো খুঁজে পাবেন।
আরও চলমান স্কলারশিপ:
1. হাঙ্গেরি সরকারি স্কলারশিপ, হাঙ্গেরি
2. University of British Columbia Doctoral Fellowship, Canada
3. University of Saskatchewan Dean's International Scholarship, Canada
4. IST Austria PhD Fellowship, Austria
5. University of Sydney RTP Scholarship, Australia